mbtv24.com: সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ ও প্রবেশপদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস কর্মকর্তাদের নবম গ্রেডের সমান করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
২২ মার্চ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কামাল আহমেদ প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।এ সময় উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
কামাল আহমেদ জানিয়েছেন যে সাংবাদিকতার সুরক্ষায় একটি আইন করার প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন এবং এর একটি খসড়াও প্রস্তুত করেছেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের নবম গ্রেডের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের বেতন নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকার জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হওয়ায় ‘ঢাকা ভাতা’ যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা সরকার ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় এবং অন্যান্য ভাতা যোগ করে তা ৩৫ হাজার টাকার বেশি হয়ে যায়।
সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কামাল আহমেদ জানান, শুধু সাংবাদিক নয়, সম্পাদক ও প্রকাশকের যোগ্যতা কী হবে, সেই তিনটি বিষয়েও বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একটি শর্তও যুক্ত করেছেন। সেটি হলো, এক বছর শিক্ষানবিশ থাকার পরে পূর্ণ সাংবাদিকের মর্যাদা পাবেন। এ রকমভাবে গণমাধ্যম নিয়ে আরও বিভিন্ন সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
কামাল আহমেদ আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকার সবাই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে।’
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে গত বছরের ১৮ নভেম্বর সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের সদস্য হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক উপমহাপরিচালক কামরুন নেসা হাসান, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নোয়াবের সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন।