সরকারি নর্থ খুলনা কলেজের অধ্যক্ষ সরদার ইসমাইল হোসেন এর অবসর গ্রহণ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলেন আবু হেনা মোহাম্মদ মনিরুল হক মন্টু

Breaking News জেলা সংবাদ শিক্ষা সংবাদ সকল সংবাদ সংবাদ
Share on Social Media
 
    
   

mbtv24.com: উত্তর খুলনার ঐতিহ্যবাহী  সরকারি  নর্থ খুলনা  কলেজের অধ্যক্ষ সরদার ইসমাইল হোসেন অবসর গ্রহণ করলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু হেনা মোহাম্মদ মনিরুল হক মন্টু।

উল্লেখ্য সরদার ইসমাইল হোসেন গত ১৯৮৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা বিভাগের  একজন প্রভাষক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী সরকারি নর্থ খুলনা কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে উপাধ্যক্ষ এবং সর্বশেষ অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন । সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনের ৩৫ টি বছর সাফল্যের সাথে কাটালেন আদর্শ এই শিক্ষক। আকাশের মতো উদার, প্রকৃতির মতো চীর সবুজ, একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, নিরাহংকারী, যোগ্য প্রশাসক, নির্লোভ, আদর্শবান এই মানুষটির শেষ কর্মদিবস ছিল গত বুধবার(১৪ জুলাই-২০২১)।

সৎ, নির্লোভ, নিরাহংকারী একজন  আদর্শ শিক্ষক হিসেবে  সরদার ইসমাইল হোসেনকে আজীবন মনে রাখবেন তেরখাদাবাসী।ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পিতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন সর্বদা। তাদের নিকট তিনি ছিলেন খুবই প্রিয়।কলেজের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।প্রশাসনিক দিক দিয়েও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।কলেজের শিক্ষক,কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকসহ স্থাণীয় বিভিন্ন শ্রেণী,পেশার মানুষের মনের স্বর্ণকুটিরে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন।

কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই গুণী মানুষটার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। তাঁর বাকী জীবনটা হোক সুখী সুন্দর ও আনন্দময়। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এদিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু হেনা মোহাম্মদ মনিরুল হক মন্টু বুধবার(১৪জুলাই ২০২১) সরকারি নর্থ খুলনা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করায় কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠণ, স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁকে আন্তিরক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য আবু হেনা মোহাম্মদ মনিরুল হক মন্টু উত্তর খুলনা মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক, তেরখাদা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, আদর্শ শিক্ষক মাস্টার জহুরুল হক এবং রত্নাগর্ভা জননী মনোয়ারা বেগমের সুশিক্ষায় গড়ে ওঠা একমাত্র পুত্র।তিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের একজন মেধাবী ছাত্র।

তিনি একাধারে একজন জনপ্রিয় কবি, লেখক, আলোচক, উপস্থাপক, ছাত্র-ছাত্রীদের পরম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ, শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখা উত্তর খুলনাঞ্চলের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৯৭ সালে তিনি নর্থ খুলনা কলেজের ইরেজি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে সততা, দক্ষতা  ও সুনামের সাথে শিক্ষাদান করে শিক্ষার্থীদের মন জয় করেন। হয়ে ওঠেন তাদের প্রিয় শিক্ষক। সেই সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাহিত্য জগতেও তিনি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর লেখা ৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যা পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। গ্রন্থগুলো হলোঃ ১) যুদ্ধ তোমার চোখে; ২) নীল বেদনার কাব্য;৩) পাথর ঘষে আগুন জ্বলে;৪) প্রসুপ্ত প্রসূন।

২০১২ সালে কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কলেজের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। উন্নয়ন হয়েছে কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও পাশের হারসহ সার্বিক অবস্থার। ছাত্র-ছাত্রীদের অত্যন্ত প্রিয় এই মানুষটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ায় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

তিনি তাঁর চির চেনা তারুণ্য  দিয়ে তেরখাদা  তথা উত্তর  খুলনার  প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী সরকারি নর্থ খুলনা কলেজটিকে প্রাণোচ্ছলতায় ভরিয়ে তুলবেন। প্রদীপ্ত শিখায় চিরভাস্বর করে তুলবেন। কলেজটি খুলনা  জেলায়  চিৎপ্রকর্ষের অনোন্য  এক অঙ্গনে  রূপায়িত  হবে। কলেজের শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, নিয়ম শৃঙ্খলাসহ সার্বিক অবস্থার উন্নয়নে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

 

মোঃ রবিউল ইসলাম, mbtv24.com, তেরখাদা, খুলনা।

তারিখঃ ১৬/০৭/২০২১ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *