তেরখাদার ভিডিও নাটকের ইতিহাস। যা হয়তো ♦অনেকেই জানেন না। যারা জানেন, তাদের মধ্যেও অনেকেই ভুলে গেছেন। চলুন জেনে নিই। ইতিহাস কে মনে রাখি।

অনুষ্ঠানমালা নাটক-ফিল্ম বিনোদন সংবাদ সকল অনুষ্ঠান সকল সংবাদ সংবাদ
Share on Social Media
 
    
   

মোঃ রবিউল ইসলাম।

শাহাবুদ্দিন বদির, মোল্যা জাফর আহমেদ, বশির আহমেদ বাবলু কে অনেকেই চেনেন। তেরখাদা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জল নক্ষত্র তারা। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা মঞ্চ নাটক করে আসছেন। তেরখাদায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তারাই নেতৃত্ব দেন। ২০০৯ সালে তাদের ইচ্ছা হয় ভিডিও নাটক করার। তথা টিভি নাটক। নিজেদের ছোট খাটো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই কাজ শুরু করে দিলেন। এখনকার মত স্মার্টফোন তখন আমাদের হাতে আসেনি। সাধারণ নকিয়া ও ক্লাসিক মাল্টিমিডিয়া ফোনের যুগ চলছে। তখন শাহাবুদ্দিন বদির কাকার রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত হলো জলাবদ্ধ ভূতিয়ার বিলের পাড়ের অসহায় মানুষের জীবনযাপনের উপর ভিত্তি করে নাটক – “ভূতিয়ার বিলের পাড়ের মানুষের কান্না”।

এটি শুধু নাটক নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক ইতিহাস। যার কয়েকটি তুলে ধরছি।
প্রথমত বিলের পানি নিষ্কাসনের জন্য নাটকে খল নায়কের মুখ থেকে একটি সংলাপ বের করেন পরিচালক। যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পানি অপসারনের উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফায় সেই পদ্ধতিতেই বিলের পানি অপসারনের চেষ্টা করা হয়। চিত্রা নদী ও সংযোগ খাল সমূহ খনন করা হয়েছে কয়েক দফায়। তাতে কাজও হয়েছে অনেকটা। বিলের পানি অনেকটা অপসারন হয়েছে।

এবার আসি নাটকের ব্যাপারো। তেরখাদার প্রথম ভিডিও নাটক এটি। নাটকটি শুরু হয় একটি গান দিয়ে। সর্ব প্রথম সেই গানের দৃশ্যেরই শুটিং হয়। সেখানে কে অভিনয় করেছিলেন ? আমি- রবিউল। গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন মেহরাজ হোসেন মিরাজ। মিউজিকে- বিকাশ কান্তি পাত্র, জুয়েল আহমেদ, দুখুসহ আরো অনেকই ছিলেন।

নাটকটি রচনা ও পরিচালনায় – শক্তিমান অভিনেতা শাহাবুদ্দিন বদির।
প্রযোজনা- মোল্যা জাফর আহমেদ।
চিত্রগ্রহনেঃ বিশ্ব সরকার।
নাটকের মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শুটিংয়ের শুভ উদ্বোধন করেন- তৎকালীন তেরখাদা সদর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জননেতা শেখ শহিদুল ইসলাম।
ঐ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছিলেনঃ এ্যাড.শেখ নুরুল ইসলাম দিশারী।
তখন আমি ছোট ছিলাম। এখন কম্পিউটারে “পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ” এবং নাটক নির্মান ও অভিনয়ের উপর ডিগ্রি অর্জন ও দক্ষতা অর্জন করলেও তখন আইটিতে অতোটা দক্ষও ছিলাম না। আর নাটকেও না। ঐ সময়ে আমি জাস্ট শিশু/কিশোর শিল্পী ছিলাম। কলাকুশলী নয়।

নাটকটি তখন শুটিং করে জাস্ট ক্যামেরা থেকে ক্যাসেটটি নামিয়ে তাকে সিডি করে সিডি প্লেয়ারে চালিয়ে দেখতাম। ক্যামেরাও সেকালের। সেই সময়ের এই নাটকের একটি কনভার্ট করা ভিডিও আমার একটা পুরনো এসডি কার্ডে পেলাম গত ৫/৭ দিন আগে। তারপর ঐ ভিডিও টাকে একটু এডিটিং করার চেষ্টা করলাম। ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, হালকা সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে মোটামুটি দেখার মত করলাম। কারিগরি সহ অনেক ত্রুটি রয়েছে এতে। যা এখন আমরা ধরতে পারি।কিন্তু তখন আমাদের সেই সাধ্য বা জ্ঞান ছিলনা। তাই দয়া করে ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। নাটকের গল্পটি হয়তো ভাল লাগবে। আর প্রযোজক ও পরিচালকের পক্ষ থেকে গল্পটিই দেখার অনুরোধ করছি সকলকে।

নাটকটি একটি সাধারণ নাটক হলেও এর দু-তিন দিনের শুটিংয়ে ঘটেছিল একের পর এক স্মরনীয় ঘটনা। যা অন্য কোন পোস্ট জানাতে চেষ্টা করবো।
নাটকটি দেখতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
https://youtu.be/XQj0J7LlKGY

https://youtu.be/XQj0J7LlKGY

ধন্যবাদান্তে
মোঃ রবিউল ইসলাম
তেরখাদা,খুলনা।
তারিখঃ ০৭/০৮/২০২০ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *