পাকা ধান কর্তন, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজে তেরখাদার চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছে

কৃষি বিষয়ক কৃষি সংবাদ ফিচার-বিশেষ প্রতিবেদন সংবাদ
Share on Social Media
 
    
   

মোল্যা সেলিম আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার:

পাকা ধান কর্তন, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজে তেরখাদার চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছে।চলতি ইরি, বোরো মৌসুমে মাঠে মাঠে ধান প্রায় পেকে গেছে। আর পাকা ধান কর্তনে ব্যস্ত সময় কাটেছ কৃষক-কৃষানীর। ভোর হতে না হতেই কাচি হাতে কৃষকেরা ক্ষেতে ধান কাটতে শুরু করেন। এবং বিকেলে শুরু হয় ধান আটি বেধে বাড়ি আনার কাজ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সংকিত কৃষককুল পাকা ধান নিয়ে দুঃচিন্তায় মগ্ন। ধান বাড়ি না আসা পর্যন্ত সস্তি নেই তাদের। পাকা ধান কাটার ধুম পড়ায় হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ধান কাটার কাচি, চাটাই, মাড়াই করার যন্ত্র, বাশের গোলা ইত্যাদি। পুরো এপ্রিল-মে জুড়ে ঝড় বৃষ্টির প্রভাবের কারণে কৃষক এ বছর ষোল আনা ধান পাকার আর অপেক্ষা করছে না। ১২/১৪ আনা ধান পাকা মাত্রই কৃষকেরা ধান কর্তন করে ঘরে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত। চলতি মৌসুমে তেরখাদায় ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকেরা। সময় মত কৃষকের হাতে উন্নত ধান বীজ, সার ্ওষুধ পাওয়ায়  এবছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষি দপ্তর ও চাষীদের অভিমত, দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদ, আর সন্ধ্যা হতে না হতেই ঝড় বৃষ্টির কারণে ধান কর্তনের ভরা মৌসুমে কৃষকের মনে আতংক বিরাজ করছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার খুলনার তেরখাদায় ৬ টি ইউনিয়নে ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষককে শ্রমিকের পারিশ্রমিক ৪ থেকে ৫ শত টাকা গুনতে হচ্ছে।  সে অনুপাতে ধানের মূল্য না পেলে ধান চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কৃষকদের দাবী, উৎপাদন খরচ চিন্তা করে ধানের ন্যায্য মূল্য নির্ধারন করলে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশ কে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অনবদ্য অবদান রাখতে পারবেন। কৃষক- কৃষানীদের ধারনা চলতি এপ্রিল মাসে ঝড় বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টি না হলে কৃষকেরা তাদের বাম্পার ফলন  ১৬ আনাই গোলাই তুলতে পারবেন। নদী নালা খাল খননে পানি সেচ ব্যবস্থা সহজলভ্য হলে আগামীতে তেরখাদায় ব্যাপক হারে ধান চাষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

মোল্যা সেলিম আহমেদ

তেরখাদা, খুলনা।

তারিখঃ ১৭/০৪/২০১৯ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *