MBTV24.com
খুলনার তেরখাদায় ২৩জানুয়ারি বুধবার বেলা ১টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলীর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেলেন কনিকা খাতুন (১৬) নামে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
বুধবার বেলা ১টায় উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে একটি বাল্য বিবাহ সংঘঠিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী, তেরখাদা থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন সিদ্দীকী। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন এবং মেয়ের বাবা জিয়ারুল ইসলাম কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর আগমণের সংবাদ পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যায়।
এছাড়া গত ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার উপজেলার জয়সেনা গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সোনিয়া খাতুন (১৪) নামে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন ও কনের পিতা আলামত শেখ কে ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
অপর দিকে বুধবার বেলা ১২টায় উপজেলার কাটেংগা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এহিউল ইসলাম মোল্যা কে পাটজাত দ্রব্য মোড়ক ব্যবহার না করে প্লাস্টিকের বস্ত্রা ব্যবহার করায় তাকে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেজওয়ানুর রহমান, সেলিম মল্লিক, জুবায়ের হোসেন, মোঃ পারভেজ ও তেরখাদা থানার পুলিশ ফোর্স।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সকল কে সচেতন হতে হবে। কোথাও বাল্য সংঘটিত হতে গেলে সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (০১৭৯৪-৪৯২ ১৫৭), তেরখাদা থানা (০১৭১৩-৩৭৪ ১০৮), উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (০১৭১৬-৫৮৩ ০২৯) কে কল করে অবহিত করুন। অথবা ১০৯ নাম্বারে কল করে জানান। তেরখাদা থেকে মদ, জুয়া, বাল্য বিয়ে বন্ধ ও স্কুলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে তিনি প্রশাসনের সাথে সকল কে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
মোঃ রবিউল ইসলাম,
তেরখাদা, খুলনা।
তারিখঃ ২৩/০১/২০১৯ইং।