তেরখাদা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। দুর্লভ খেজুর রস ও গুড়

সংবাদ
Share on Social Media
 
    
   

মোঃ রবিউল ইসলাম, তেরখাদা, খুলনাঃ

নানা কারণে তেরখাদা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ । শীত মৌসুমেও দুর্লভ হয়ে পড়েছে খেজুরের রস ও গুড়।গ্রাম-গঞ্জ, হাটে বাজারেও মিলছে না খেজুরের রস ও গুড়। এক সময় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেজুর গাছের বাগান ছিল।তেমন কোন পরিচর্যা ছাড়াই এসব বাগানে খেজুর গাছ বেড়ে উঠতো।শীত মৌসুমে গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতো। সে রস থেকে তৈরী হতো সুমিষ্টি গুড়। খেজুরের রস দিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে তৈরী হতো পিঠা, পায়েসসহ নানান প্রকার বাহারী সুমিষ্টি খাবার।গ্রামে গ্রামে শীতের কুয়াচ্ছন্ন শীতে বসতো খেজুর রসের মেলা। বাঁকে করে ঠিলা (এক প্রকার কলসি) ভর্তি রস নিয়ে হাটে ছুটতো গাছিরা।খুবই কম দামে পাওয়া যেত রস ও গুড়।

  গ্রামীণ নারীরা খেজুরের পাতা দিয়ে তৈরী করতো মাদুর।ডগা দিয়ে ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন প্রকার খেলার সামগ্রী তৈরী করতো।খেজুর গছের সরফা দিয়ে গ্রামের ছেলে মেয়েরা রাতে আলোর বাজী ফুটাতো।চমৎকার আগুনর ফুলকি তে জ্বল জ্বল করতো গ্রামের অন্ধকার রাত।জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হতো এগুলো। এগুলো সবই আজ ইতিহাস হয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে সেই শীতের পিঠা, আলোর বাজী, খেজুরের রস ও গুড়ের স্বাদ। নানা প্রতিকূলতার কারনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। যেমন- অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইটের ভাটা, বসত বাড়ি তৈরী, জনসচেতনতার অভাব ইত্যাদি।বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকায় ইটের ভাটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খেজুর গাছ গুলো খুবই কম মূল্যে চলে যাচ্ছে এ সকল ভাটায় জ্বালানী হিসেবে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই খেজুর গাছের পুরা জাত টি বিলীন হয়ে যাবে অত্র এলাকা থেকে।

এমতাবস্থায় খেজুর গাছ সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।সরকারি ভাবে খেজুর গাছ চায়ে উৎসাহী এবং ইটের ভাটা/ফাজার জ্বালানী হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে খেজুর গাছ বাঁচিযে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

   

    

মোঃ রবিউল ইসলাম

 তেরখাদা, খুলনা। 

 তারিখঃ ২০/০২/২০১৮ইং।

Latest Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *