তেরখাদার পারহাজী গ্রামে আতাই নদীতে প্রধান সড়ক, নদী ভাঙ্গন আতংকে শতাধিক পরিবার(ভিডিও সহ)

আন্তর্জাতিক সংবাদ কৃষি সংবাদ খেলাধূলা তথ্য প্রযুক্তি ফিচার-বিশেষ প্রতিবেদন বিনোদন সংবাদ সকল সংবাদ সংবাদ
Share on Social Media
 
    
   

MB TV24.Com: খুলনার তেরখাদা উপজেলার ৬নং মধুপুর ইউনিয়নের পারহাজী গ্রামে আতাই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে সেনের বাজার-কালিয়া সড়ক। নদী ভাঙ্গন আতংকে ভুগছেন পারহাজী গ্রামের শতাধিক পরিবার। এদিকে প্রধান সড়কে ভাঙ্গনের ফলে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সূত্র মতে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর পারহাজী গ্রামের ঈদ গাহ  এর নিকটে সেনের বাজার-কালিয়া সড়কে ফাটল দেখা দেয়। যা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং গত ২০ অক্টোবর সম্পূর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে চলে যায় নদীর গর্ভে। বর্তমানে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নদীর পাড়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি ইতোমধ্যেই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। উক্ত ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে দুপাশে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার নদীর কিনার সংলগ্ন এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় এসব জায়গাতেও ভাঙ্গন হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মহাসিন এর তত্ত্বাবধানে   রাস্তার পাশেই থাকা কয়েকটি বসতবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে বিকল্প পথ তেরীর চেষ্টা করছেন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয়ভাবে শ্রমিক দিয়ে বিকল্প পথ তৈরী, বসত ঘর সরিয়ে অন্যত্র স্থাপন  এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধে বালু ভর্তি বস্ত্রা ফেলা হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড, তেরখাদা, খুলনা এর  উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সোবহান হাওলাদার জানান, ১৭৫ কেজি করে ৪,৪৮০ বস্তা বালু ফেলে ও রিং বাধ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মহাসিন জানান, নদী ভাঙ্গনে সেনের বাজার-কালিয়া প্রধান সড়ক টি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় গত ১০/১২ দিন যাবৎ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল ফিরিয়ে আনতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পাশ দিয়ে বসত ঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে সেখান দিয়ে বিকল্প পথ তৈরীর চেষ্টা চলছে।

স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার দুপাশে এসে দুপ্রান্তের বাস, টেম্পু, ইজি বাইক, ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন এসে থামছে। এবং যাত্রীদের গাড়ি বদলাতে হচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে।এতে তাদের ভাড়া ও সময় বেশি লাগছে।অন্যদিকে যানবাহন চালকেরা জানান, এ অবস্থায় খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বিকল্প কোন পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে ভাঙ্গনের এপাশে এসে গাড়ি থামাতে হচ্ছে।অন্যপ্রান্তের গাড়ি গুলো ওপাশে রয়েছে। যাত্রীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।তাদের সময় ও অর্থ বেশি লাগছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় নিরাপত্তার জন্য আমাদের পরিষদের গ্রামপুলিশ ও অন্যান্য লোকজন ডিউটি করছেন। চেষ্টা করছি- মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ানোর। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর জন্য কিছু করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে বেশ তৎপর এবং আন্তরিক রয়েছেন।অনেক উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

নদী ভাঙ্গনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা সর্বস্ব হারিয়ে খুবই অসহায়ভাবে বসবাস করছেন। তাদের কে পর্যাপ্ত সহায়তা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

মোঃ রবিউল ইসলাম

তেরখাদা, খুলনা।

তারিখঃ ২২/১০/২০১৮ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *